উপকূলীয় প্রতিনিধিঃ
শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ বাজারে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রেজিস্ট্রেশন বিহীন ভুয়া টেকনিশিয়ান দিয়ে চলছে সুন্দরবন ডিজিটাল প্যাথলজি এমনটাই অভিযোগ উঠেছে এই প্যাথলজির বিরুদ্ধে। ২৫ অক্টোবর সকালে সরজমিনে শ্যামনগর মুন্সিগঞ্জ সুন্দরবন ডিজিটাল প্যাথলজিতে গিয়ে দেখা যায় সুন্দরবন প্যাথলজির এমন অবস্থা। এখানে নেই কোন চিকিৎসা দেওয়ার মত এমবিবিএস ডাক্তার তাছাড়া উক্ত প্যাথলজিতে অভিজ্ঞ সম্পন্ন নেই কোনো টেকনিশিয়ান। সঠিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করার মত কোন উন্নত যন্ত্রপাতি নেই। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সুন্দরবন প্যাথলজির স্বত্বাধিকারী কুটিঘাটা গ্রামে কালিপদ মন্ডলের পুত্র সুব্রত নিজেই টেকনোলজিস্ট হয়ে কাজ করছেন এমনটাই দেখা গেছে। এ বিষয়ে কুটিঘাটা গ্রামের কালিপদ মন্ডলের পুত্র সুব্রতর কাছে টেকনিশিয়ান ও ডাক্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের এখানে একজন টেকনোলজিস্ট আছে ও একজন এমবিবিএস ডাক্তার আছে। টেকনোলজিস্ট ও ডাক্তারের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন।
এখানে এমবিবিএস ডাক্তার সন্তোষ কুমার মন্ডল এবং টেকনোলজিস্ট চিৎময় মন্ডল থাকেন সব সময় একটু বাইরে গেছে আসবে একটু পরে কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও তাদের দেখা মেলেনি,। এ বিষয়ে সুন্দরবন প্যাথলজিস্ট থেকে মে ডাক্তারের কথা হয়ছিল দায়িত্বপ্রাপ্ত দাবি করা এমবিবিএস ডাক্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ডাক্তার সন্তোষ কুমার বলেন আমি সুন্দরবন ডিজিটাল প্যাথলজির দায়িত্ব প্রাপ্ত ডাক্তার না আমি যখন নিজের গ্রামের বাড়িতে যাই তখন ওখানে সময় দেই এর বেশি কিছু না। এ বিষয়ে সুন্দরবন ডিজিটাল প্যাথলজির টেকনেশিয়ান চিৎময় মুঠোফোনে যোগাযোগ করে টেকনিশিয়ান এর ব্যাপারে জানতে চাইলে সাংবাদিকের নাম শোনা মাত্রই মুঠোফোনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে কুটিঘাটা গ্রামের কালিপদ মন্ডলের পুত্র সুব্রত মন্ডল এর কাছে সুন্দরবন ডিজিটাল প্যাথলজি কত দিন যাবৎ পরিচালনা করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন দীর্ঘ দুই বছর যাবৎ তিনি এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। রেজিস্ট্রেশন আছে কিনা এমন প্রশ্ন জবাবে তিনি বলেন কাগজ পত্র সবই ঠিক আছে। তিনি বলেন প্যাথলজি চালাতে গেলে যা যা দরকার সবই আছে,।কিন্তু সরজমিনে দেখা যায় প্যাথলজি পরিচালনা করতে যা যা প্রয়োজন তার কিছুই নেই, উন্নত মানের কোন যন্ত্রপাতি বায়োকেমিস্ট্রি/এনালাইজার মেশিন , ইলেক্ট্রোলাইট মেশিন, সেল কাউন্টার মেশিন, হরমোন মেশিন , তাছাড়া প্যাথলজির পরিবেশও ভালো নাই মোজাইক করা রুমের ব্যবস্থা নাই, ল্যাবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কোন ব্যবস্থা নাই। তাহলে সুন্দরবন ডিজিটাল প্যাথলজিতে আছে কি তা নিয়ে সুশীল সমাজের মধ্যে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয় জানতে চাইলে সুব্রত মন্ডল বলেন এটা আপনাদেরকে বলবো না আমি সিভিল সার্জনকে বলবো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার কে বলবো। আমার বৈধ কাগজপত্র ও অনুমতি আছে বলেই আমি প্যাথলজি চালিয়ে যাচ্ছি। তা না হলে আমি এই প্যাথলজি চালাতে পারতাম না। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এর মেডিকেল অফিসার জিয়াউর রহমানের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে তাহার মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভাব হয়নি।
Leave a Reply